এক ঘুমিয়ে যাওয়া সন্ধ্যার চোখে আমরা হেঁটে ছিলাম শিশিরের শহর ছেড়ে এক জলহীন জলাভূমির ভূমি মাড়িয়ে হেঁটেছিলাম বহুদূর , কয়েক শতাব্দী ধরে নির্ভর কুয়াশার দুর্ভেদ্য দেয়াল ঘেঁষে , হেঁটেছিলাম । হেঁটেছিলাম জোৎস্না কুড়িয়ে মালা গেঁথে গেঁথে আমাদের প্রথম স্পর্শের সাক্ষী হবে বলে , যার সুতো হতো তোমার আমার হেঁটে চলারই পথ ! আমরা হেঁটেছিলাম , পায়ের পাশে পা বিছিয়ে ঘাসফুলের গন্ধ মেখে , হাতের পিঠে উষ্ণতা এঁকে কত শত কালের ক্লান্তি ভেঙে মহাকাল পেরিয়ে । অন্ধকারের পাপী চোখ টেনে ধরেছিল কালো পাড়ের ঐ শাড়ীর আচল কুয়াশার দুর্ভেদ্য দেয়াল ভেদ করে আমরা জড়িয়ে ছিলাম 'ভালবাসি' বলে ! এক নিঃসঙ্গ সিলিকার প্রতিফলিত আলোতে জ্বলছিল তোমার কপালের রক্ত বিন্দুর ফোঁটা , যেথা ছুঁয়ে দেখিনি বলে , অভিমানে নেমে এসেছিল ইতিহাসের সকল পৃথিবীর অমাবস্যা । কিন্তু তুমি তো দেখো নি সেই মধ্য আকাশের রক্ত বিন্দুটি আমার হৃদয় থেকেই ঝরেছিল , তোমার অগোচরে ! আমার প্রথম সন্ধ্যার জানালা তোমার নিঃশ্বাসগুলোর ছাপ ধরে নিতে পারে নি ঠিক , প্রথম ছিল কিনা ! তবু তুমি হেঁটে চলে গেলে , আমি আটকে যাওয়া বোতামেই থমকে ছিলাম , তুমি আর পেছন ফিরে তাকাও নি ! আমরা হেঁটেছিলাম হাজারো সন্ধ্যা , হাজারো রাত , হাজারো আকাশ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে আছে লক্ষ কোটি জোৎস্নার মালা , আমাদের প্রথম স্পর্শের সাক্ষী হয়ে ! নিজেকে তবু সামলে উঠি আমি শতাব্দীর সান্ত্বনায় মিছে মিছি গল্প আঁকি , একাকী তারার আকাশে তাকিয়ে নক্ষত্রের চোখে চোখ রেখে , আমার প্রথম সন্ধ্যার জানালায় তুমি এসে কড়া নেড়েছিলে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম , শুনতে পাই নি !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ফয়সল সৈয়দ
প্রথমে বলে রাখি। আবৃত্তি যোগ্য কবিতা এটি। কবিতার শক্তি মধ্যে একটি আবশ্যিকতা আছে, সে নিজেই নিজেকে লিখিয়ে নেয়, না লিখে থাকতে পারে না কবি। আপনার কবিতায় ভালবাসার মনোমুগ্ধ কর বর্ণনা পাওয়া যায়। ভালবাসার মতোন সুন্দর আর কিছু নেই। ভালবাসার কথা জানতে যত ভাল লাগে, তত ভালো অন্য কিছুতে লাগে না।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।